গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: কী হবে এই শিশুটির ভবিষ্যৎ? শিশুটির মা গত পাঁচ বছর পূর্বে মারা যায়। পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়, তখন তার বয়স মাত্র ১ বছর। এখন তার বয়স ৬ বছর। শিশুটির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাবা মিন্টু মোল্লা আর দ্বিতীয় বিবাহ করেননি। মায়ের ভালোবাসার অভাব বুঝতে দেয়নি কখনো তাকে। বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলবেন। সে উদ্দেশ্যেই ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করে দেন।
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সোমবার (১২ নভেম্বর) সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কুয়াডাঙ্গা নামক স্থানে বাস চাপায় শিশুটির পিতা মিন্টু মোল্লা পৃথিবীতে তাকে একা রেখে মারা যান। সকালে দোকান থেকে আটা কিনে বাড়ি ফেরার সময় মায়ের দোয়া পরিবহনের একটি লোকাল বাস তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ সময় শিশুটি স্কুলে ছিলো। স্কুল থেকে তাকে ডেকে আনা হয় বাড়িতে। বাড়িতে তখন অনেক লোকের ভিড়। ভিড়ের মধ্যে সবার দিকে তাকিয়ে সে খুঁজতে ছিলো তার বাবাকে। সে তখনও জানতো না যে মায়ের মতো বাবাও তাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে। পরে দেখতে পায় উঠানে তার পিতার লাশ। এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে শিশুটি।
শিশুটির কান্নায় উপস্থিত কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। সবার মনে একটাই প্রশ্ন শিশুটির এখন কী হবে? মা-বাবার মৃত্যুতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে শিশুটির ভবিষ্যত। মা-বাবাকে হারিয়ে একেবারেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছে শিশুটি। শিশুটি কুয়াডাঙ্গা এলাকার মৃত মিন্টু মোল্লার একমাত্র সন্তান।